রমন মোহন রমণী

রহস্যময়ী নারী (জুলাই ২০১৬)

শাহ আজিজ
মোট ভোট ১২ প্রাপ্ত পয়েন্ট ৫.৮৫
  • ১৪
হাওড়া রেল স্টেশনে বসে কত রকমের মানুষ দেখছি।আমার ক্লান্তি বোধ হচ্ছেনা। ভারতবর্ষের সবজাতির মানুষ কোলকাতায় আছে এবং তাদের একত্রে দেখার একটিমাত্র জায়গা হাওড়া রেলস্টেশন । সারাদিন অভুক্ত, ট্রেন রাত ৯ টায় । এখন বিকেল ৪টা। ফুড স্টল আছে ওইদিকে। একমাত্র সম্বল একটি ব্যাগ আর স্কেচ বুক রাখার চটের থলে সাথে নিয়ে ফুড স্টলে শুধোলাম ‘ভাত খাব’। তিনি আমায় কোনায় একটা বিল্ডিং দেখালেন।
স্টেশনটি বিশাল টিনের ছাউনি ।মেঝেতে বিছানা পেতে হাজারো বুড়ো বুড়ি শুয়ে আছে। হ্যা, এটাই রেস্টুরেন্ট , ২৪ ঘণ্টা চলে। ভাত আর মুরগির মাংস দিয়ে আয়েশ করে খেলাম । বেশ স্বাদের , ভারতে এটাই প্রথম খাওয়া ।
আগের বেঞ্চ দখল হয়ে গেছে ,তারপর আবার নতুন করে বেঞ্চ খুজে তাতে বসলাম। একটা সিগারেট ধরালাম। আমার আশে পাশে বসা লোকগুলি আমায় দেখছে সেটা বুঝতে পারলাম। একজন অতি আগ্রহী না পেরে জানতে চাইল “দাদা কি বাংলাদেশ থেকে?” আমি মাথা নাড়লাম । ‘ না ওই নতুন ধরনের সিগারেট প্যাকেট দেখলুম তো, তাই শুধোলাম ‘। ঢাকা থেকে শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে এখানে বিচিত্র ধরনের টাউট বাটপাড় আছে, সাবধান। মাথা উচু করে ছাউনির দিকে তাকিয়ে রইলাম। তাতে করে নতুন কোন প্রশ্ন করার সুযোগ রইল না। তিনজনের বেঞ্চ , ব্যাগ মাথার নিচে দিয়ে শুয়ে পড়লাম ।খাওয়ার পর শরীরে ক্লান্তি নেমেছে। দুচোখ খোলা রাখতে পারছিনা।

হটাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেল, মনে হল কেউ পায়ের কাছে কিছু একটা বলছে, চরম বিরক্তিকর ব্যাপার। ‘একটু যদি জায়গা মিলত তবে বসতে পারতাম’ । সুরেলা আর আকর্ষণীয় কণ্ঠ । চোখ খুললাম , দেখি পায়ের কাছে সাদামাটা দেশি শাড়িতে সাজগোজ বিহীন এলো খোঁপার ডাগর চোখের আকর্ষণীয় রমণী আমার মুখে তাকিয়ে। বিব্রত আমি যে পুরো তিনজনের বেঞ্চ দখল করে শুয়ে আছি! আস্তে করে উঠে বসলাম। রমণী তার আচল দিয়ে বেঞ্চির জায়গা ঝেড়ে নিয়ে বসলো । আমার ঘুম ভাঙ্গানোয় তার কোন প্রতিক্রিয়া নেই। আশপাশ মানুষ দিয়ে ভরা। মেজাজ খারাপ হচ্ছে আবার ডাগর চোখের ভ্রমে তা কমে আসছে,হাই ফিভারে বরফ দেওয়ার মত। আমি আর পাশ ফিরে দেখিনি ডাগর রমণীকে অনেকটা ক্রোধে । মুখে দুহাত দিয়ে সামনে ঝুকে চোখ বুজে বসেছিলাম এবার সোজা হয়ে হেলান দিয়ে একটা সিগারেট ধরালাম। বুঝতে পারছিলাম রমণীর উশখুশ ভাব কিন্তু এখানটা স্মোকিং জোন কারন আমার আগে পিছে অনেকেই বিড়ি তাও শালপাতার, টানছে। না হলে তিনি কিছু একটা বলতেন ।
চায়ে’ওয়ালা এলো , মাটির ভাঁড়ে কেতলি থেকে চা দিল, আহা , জীবনে প্রথম মাটির ভাঁড়ে অমৃত খাচ্ছি । খাটি দুধ মনে হয় লবঙ্গ দিয়েছে । ওকে আবারো ডাক পাড়লাম এবং ভাড় এগিয়ে দিতেই তা ভরে দিল , একটু বেশি, ভালবেসে।
চা’টা খুব ভাল লাগছে তাইনা?
রমণীর হটাৎ প্রশ্নে হাতের ভাড় ছলকে উঠল। সামলে নিয়ে তার দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়লাম । সিগারেটে তৃপ্তির লম্বা টান ।
‘আপনার পোশাক আশাক আর সিগারেটের প্যাকেট দেখে বোঝাই যাচ্ছে আপনি বাংলাদেশের’!
আমি আবারো মাথা নাড়লাম । তিনি বললেন মাথা নাড়ার ব্যাপারটি উল্টো হবে এদেশে, ডানে বায়ে হচ্ছে ‘হ্যা’, উপর নিচ হচ্ছে ‘না’ । রমণীর মনোযোগ আমার দিকে বোঝাই যাচ্ছে।
খানিক বাদে প্রশ্ন ‘কোথায় যাচ্ছেন?’
এবার মাথা নাড়ানোর দিন শেষ , কণ্ঠস্বরের কাজ শুরু।
বললাম ‘ভুবনেশ্বর’।
তিনি কলকলিয়ে বলে উঠলেন ‘আমিও, সূর্যমন্দিরে?’
‘হ্যা’ । কি আশ্চর্য ! আমি এবার তার মুখে তাকালাম। সিঁদুরহীন সিঁথি , লক্ষ্মী সরস্বতীর ডাগর চোখ , মেকাপহীন মুখ তবুও উজ্জ্বল শ্যামলা শরীরে। দারুন চিকন কোমর , গুরু নিতম্ব, লোভাতুর পুষ্ট বৃহৎ বক্ষ দুটি যেন বাধন ছাঁদন ফেটে বেরিয়ে আসতে চাইছে !! আমায় ঘুম ভাঙ্গানোর অপরাধ ভেসে গেল ফল্গুর স্রোতধারায় ।

আমার নীরবতা বা অনিচ্ছায় আলাপ বাড়ল না।
রাত ৮টা বাজে । খেয়ে নিয়ে ট্রেনে উঠলে ঝামেলা থাকেনা আর। ব্যাগদুটো ওখানেই রেখে তাকে বললাম – আপনি আছেনতো এখানে? হ্যা হ্যা আমি আছি ।
সোজা গিয়ে পরাটা ডিম খেয়ে নিলাম দ্রুত কারন মাইকে আমার ট্রেন নাম্বার আর প্লাটফরম এনাউন্স করছে। বগিতে উঠে বেশ আরাম বোধ হল। কি আশ্চর্য ! মহিলা ঠিক আমার বিপরীতে স্লিপিং বাথে এসে বসলো। ট্রেন ছোট একটা ধাক্কা মেরে চলা শুরু করল। এই বগিতে যাত্রী একদম কম দেখছি কিন্তু ডালহৌসি স্কয়ারের অফিসে এমন ভাব দেখাল যে ট্রেনে জায়গা নেই। ধীর স্থির হয়ে বসতেই তিনি বললেন আমি মৈত্রেয়ী , পশ্চিমবঙ্গের বাঙ্গালী , বাংলায় পড়াশুনা শেষ করেছি। কোথায় থাকেন বা পড়েছেন , কি করেন তা বললেন না । উত্তরে আমি বললাম আমি শামসীর , সবে ফাইন আর্টে গ্র্যাজুয়েট।
ও আপনি মানে মানে তুমি করেই বলি , হ্যা ? আর্টিস্ট? বেশ মজার। ভারতে প্রথম?
হ্যা।
টুকটাক আলাপে ঘণ্টা পার হল । টি টি এসে আমার পাসপোর্ট , টিকিট চেক করে মৈত্রেয়ী দেবীর টিকিট নিয়ে বললেন আপনার বগিতো এটা নয়। মৈত্রেয়ীর গভীর দৃষ্টির সামনে টি টি নার্ভাস কিছুটা , বললেন বগি খালি আছে যখন , যান, আর বাঙ্গালী সাথী পেয়েছেন । মৃদু হাসি মুখে টি টি জানলেন আমি ঢাকার , তিনি কোলকাতার হলেও বাবা বরিশাল হতে এসেছিলেন। খুব আশ্বাস , নিরাপদ মনে হল যে আমাদের দেশি রক্ত এখানে কম নয়।
হাই উঠল । টয়লেট সেরে কাপড় বদলে বাথে শুয়ে পড়লাম ব্যাগটা মাথার নিচে দিয়ে। পাশের বাথে মৈত্রেয়ী দেবী শুয়েছে বলে কিছুটা অস্বস্তিতে ছিলাম ।
ট্রেন ঝাকুনি দিয়ে দাঁড়ানোতে ঘুম ভেঙ্গে এদিক ওদিক তাকালাম। উপরের সিলিঙে আলো জ্বলছে । কারো কোন প্রতিক্রিয়া নেই। নজর গেল দেবীর দিকে , অঘোরে ঘুমাচ্ছেন । তার পিঠের দেড় কাঠা জমিনে ব্লাউজের কাপড় কম পড়েছিল । দর্জির সাথে আমার কোন বিরোধ নেই কারন ওই দেড় কাঠা জমিনে আমার ফসল বোনার কাজ শুরু হয়ে গেছে। ঝিক ঝিক ঝাকুনিতে আবার কখন ঘুমিয়ে গেলাম।
খুব ভোর বেলায় আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল জানালা দিয়ে দ্রুত অপসৃয়মান আকাশ দেখে। এই প্রথম ট্রেনে ঘুমিয়ে কোথাও যাচ্ছি এবং নীল আকাশ দেখছি। দেখতে চাইলাম মৈত্রেয়ী দেবীকে। তিনি এবার আমা মুখো হয়ে ঘুমিয়ে। তার বুকের কাপড় সরে গেছে আর ওইখানের মসৃণ গিরিখাতের ভাঁজ বড্ড জাগিয়ে তুলল আমায় ।
সত্যিই সুন্দরী মৈত্রেয়ী ।
কাজ নেই তাই শুয়ে থাকা । মাঝের একটা পাহাড়ী টানেলের মধ্য দিয়ে যেতে যেতে আলোহীন ট্রেনের ভিতরে মৈত্রেয়ী মুখ খুলল ‘কেমন লাগছে?’
‘হ্যা একটু টেনশন হচ্ছে , আলোহীন তো তাই , খুব অন্ধকার’ ।
টানেল ছেড়ে বেরিয়ে এলাম ।
মৈত্রেয়ী বলল ‘সামনেরটা আরো লম্বা , মজা হবে তাইনা’?
বোকার মত মাথা ঝাকালাম ।
মৈত্রেয়ীর গিরিখাতের ভাজ ঢাকা পড়েছে শাড়ীতে।
এবারেরটায় ঢোকার আগেই আলো জ্বলে উঠলো ।
‘নাহ,মিস করলে শামশীর , জানো- আধাঁর আমার প্রিয়’।
ভুবনেশ্বর নামলাম। স্টেশনের বাইরে খুব অগোছালো। বাস কাছেই, এলোপাথাড়ি দাড়িয়ে। আমরা একটা দশাসই রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম । পাঞ্জাবী ধাবা বলে এগুলোকে , মৈত্রেয়ী বলল, উড়িষ্যার খাবার একদম বাজে , খেতে পারবেনা । ধাবা নামটা প্রথম শুনলাম । মৈত্রেয়ী আর আমি মুখোমুখি বসে। পরাটা সাথে ভাজি আর আমি ডিম মামলেট খেলাম।
বাসগুলো ব্রিটিশ সময়ের ইঞ্জিনের ওপর স্থানীয়ভাবে কাঠের বডি বানিয়ে চলছে।এবার দুজন পাশাপাশি । দর্জির মত কাঠমিস্ত্রীরও কাঠ কম পড়েছিল বলে সিট ছোট বানিয়েছে। ‘ আরও চেপে বস আমার দিকে’। তীক্ষ্ণ রোদ্দুরে কপাটহীন জানালার পাশে আমরা দুজন মিলে মিশে একাকার হয়ে গেলাম।
কোনারক এসে গেছে শুনে স্কচ হুইস্কির ধ্যান কেটে গেল , ভাবলাম কোনারক কেন সারা দিনমানের পথ হলনা।
কোনারকের যাদুঘরে টোকেন নিয়ে ব্যাগ রেখে সামনেই থাকা সূর্যমন্দিরের সামনে দাঁড়ালাম। কি অদ্ভুত অপরুপ সূর্যমন্দির। বিশাল রথ একখানা । চোখের দেখা দেখে নিচ্ছি,পরে খুটে খুটে দেখব, থাকার ইচ্ছে আছে দুদিন। অষ্টচক্রের আশপাশ দিয়ে মিথুনরত মূর্তি যুগল। মৈত্রেয়ী তার ব্যাগ থেকে ক্যামেরা বের করে আমায় গছিয়ে দিয়ে বলল ছবি তুলবে আমার । চক্রটি একটু উচুতে আর তাই মৈত্রেয়ীকে ঠেলে তুললাম তার নরম নিতম্ব দুহাতে চেপে। বেশ লজ্জা পাচ্ছিলাম তবে আশপাশ দিয়ে ৫০/৬০ জোন লোকাল টুরিস্ট অবশ্য কেউ লক্ষ্য করছেনা আমাদের। শাড়ি কোমরে পেঁচিয়ে বিশেষ ভঙ্গিতে দাঁড়াল যেন ও রথের চাকা ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে। তুললাম এক দুই তিন কয়েক দিক থেকে। আমার ক্যামেরা নেই পয়সাও নেই কিন্তু বন্ধুদের ক্যামেরায় হাত পাকিয়েছি বেশ। আমরা পেছনের দিকে এগুলাম। এখানেই মন্দিরের সবচে উচু চুড়া । গোটা মন্দির লালচে বেলে পাথরে খোঁদাই করা। আশ্চর্য হচ্ছিলাম এতক্ষনে মৈত্রেয়ী আমায় একটিবারও বলেনি এসো তোমার ছবি তুলে দিই । অষ্ট চক্রের আশপাশ ঘিরে বিশ পচিশ জন সাদা চামড়ার টুরিস্ট । তাদের ঘিরে উৎসুক স্থানীয় দ্বিগুণ পরিমান লোকজন। একজন হাসি মুখ লম্বা যুবক বলল ‘ওরা ইউরোপীয়’,
‘তো’, মৈত্রেয়ীর বিস্ময়ভরা জবাব ।
‘না ওরা বলছে আপনি কিছু আগে ছবি তুলেছেন নিজের, বলছে মডেল হিসাবে আপনি অতুলনীয়’।
‘তার মানে আমায় দাড়াতে হবে বিনি পয়সায়?’
লোকটি হাত কচলে খ্যাক খ্যাক করতে লাগলো। কথা হচ্ছিল হিন্দিতে।
আবারো নিতম্ব উত্তোলন । মৈত্রেয়ী এবার দারুন পোজ দিচ্ছে। সবার ক্যামেরা ক্লিক ক্লিক করছে। আমি ভিড় ছেড়ে আবারো পিছন দিকে এগুলাম । দেয়ালের গায়ে হাই রিলিফ ওয়ার্ক বেশ আনন্দ দিচ্ছে আমায় । আধা ঘণ্টা হয়ে গেছে । চক্রের দিকে এগুলাম। বিদেশিরা জায়গা বদল করে ছবি তুলছে। আমি এই অঘোষিত আচানক পাওয়া দায়িত্বের কবলে এই মুহূর্তে খুবই বিরক্ত। ভিড়ের পেছনে এসে চক্রের দিকে তাকালাম, কিন্তু কই? মৈত্রেয়ী নেই সেখানে। বিদেশিরা চক্রের আশপাশের পাথরের প্লাকে ভাস্কর্যের ছবি তুলছে। আগা মাথা খুজলাম , নেই নেই মৈত্রেয়ী কোথাও নেই। আমার মনের ভেতরে ভয়ঙ্কর ব্যাপার চলছে , উদ্বেগ আর উত্তেজনা যুগপৎ কাজ করছে। গলা শুকিয়ে কাঠ !
পানি খেয়ে সুস্থ হলাম কিন্তু জলজ্যান্ত একটি মানুষ উধাও হয়ে গেল কেমন করে! কারো দেওয়া চিরকুটের নাম ধরে বাঙ্গালী যুবককে পাওয়া গেল। কাঠের তৈরি ভাঙ্গাচোরা শোয়ার তক্তপোষ আছে তার , আছে বাঙ্গালী খাবারের হোটেলও ।
সন্ধ্যায় যাদুঘরের কাউনটার থেকে জানলাম তার ব্যাগ কেউ নিয়ে গেছে। এরা টুরিস্টদের জন্য বড় বাথরুম করেছে গোসলের জন্য । গোসল সেরে থাকার জায়গায় তক্তপোষে শুয়ে সিগারেট খাচ্ছি আর ভাবছি ঘটে যাওয়া গোটা ঘটনাটি। দাদা উপদেশ দিলেন যাকে চেনেন না তাকে নিয়ে এত টেনশন কেন। পুলিশে বিহিত চাইলে আপনার ঘাড়ে বোঝা বাড়বে।
তাইতো , দাদাই ঠিক বলেছে।
ভাঙ্গা জানালা দিয়ে চাঁদের উজ্জ্বল আলো ঠিকরে পড়ছে মাটির মেঝেতে।
বাইরে বেরিয়ে এগুলাম রথের দিকে। আরও লোকজন আছে ,এরা রেস্টুরেন্টের বাবুর্চি , বয় । ভিতরে গিয়ে চক্রের কাছে দাড়িয়ে রইলাম । আজ পূর্ণিমা বলে চারদিক আলোয় ভাসছে । পিছনের দিকে গেলাম , ভীষণ অন্ধকার ওখানে । কেন জানি শরীরটা কেঁপে উঠল অজানা আতঙ্কে । বুক কাপছে আমার, দৌড় দিলাম গেটের দিকে। ওখানে দাড়ানো লোকেরা আমায় জিজ্ঞেস করল এনি প্রবলেম? না না কিছু নয়, বড্ড অন্ধকার , তাই একটু নার্ভাস হচ্ছিলাম ।
খোলা জানালা দিয়ে আসা পূর্ণিমার আলোয় তক্তপোষে তৈলাক্ত বালিশে ঘুমিয়ে গেলাম।
দীর্ঘ ৩৪টি বছর কেটে গেছে।
জীবন , মন, পরিবেশের বদল হয়েছে। কিন্তু মৈত্রেয়ী দেবী যে এক অপার রহস্য তৈরি করে উধাও হয়ে গেল তার কোন কুলকিনারা আজও হয়নি। না জানি মৈত্রেয়ীর ঠিকানা , না তার সাথে কোন ছবি ।
এখনো রাতে বিছানায় শুলে মনে হয় রেলের বাথে শুয়ে দুলছি ওপাশে মৈত্রেয়ী শুয়ে আছে পিঠের জমিন বের করে বা উদ্দীপনা সৃষ্টিকারী স্তনখাতের খাঁজে সব রহস্য লুকিয়ে রেখে। মৈত্রেয়ী নিশ্চিত ভ্যুলোকের বাহন ওই যে চক্র , তার মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে , সূর্য দেবতা ঠাই দিয়েছে তার বাহনে ।
মৈত্রেয়ী মহাকালের পথে ধাবমান ।।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মামুনুর রশীদ ভূঁইয়া বিজয়ী হবার মতোই চমৎকার একটি গল্প ছিল এটি। ভালো লাগল। অভিনন্দন ও ধন্যবাদ।
আশা জাগানিয়া আরজু পনির পক্ষ থেকে অনেক অভিনন্দন রইল। আমি কিন্তু এই সাইটের নিয়মিত পাঠকও বটে।
ভালো লাগেনি ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৬
ধন্যবাদ পনি
ভালো লাগেনি ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৬
অর্বাচীন কল্পকার অভিনন্দন :) শুভেচ্ছা নিন
কেতকী অভিনন্দন রইল অনেক অনেক। অনেক শুভকামনা জানবেন।
জসিম উদ্দিন আহমেদ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা !
সেলিনা ইসলাম অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা !
Fahmida Bari Bipu অনেক অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
কাজী জাহাঙ্গীর অভিনন্দন,অভিনন্দন।
আহা রুবন দাদাজানকে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা।

০৮ মে - ২০১৫ গল্প/কবিতা: ৮১ টি

সমন্বিত স্কোর

৫.৮৫

বিচারক স্কোরঃ ৩.৪৫ / ৭.০ পাঠক স্কোরঃ ২.৪ / ৩.০

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪